একটি মেয়ের বিবাহিত জীবনে প্রচুর অশান্তি হচ্ছিল সে কোনো ভাবেই তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিল না,মনের মধ্যে এতোটাই রাগ জন্মেছিল যে সে তার স্বামীকে খুন পর্যন্ত করতে চাইছে।
একদিন সকালে সে তার মায়ের কাছে গিয়ে বললো- “আমি আমার স্বামীকে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি,আমি আর তার বাজে কথা মেনে নিতে পারছি না। আমি তাকে খুন করতে চাই,কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি যে দেশের আইন আমাকে দায়ী করবে। তুমি কি এই বিষয়ে আমাকে সাহায্য করতে পারো মা..??”
মা উত্তর দিলেন- “হ্যাঁ, আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি। তবে তার আগে কয়েকটি কাজ আছে যা তোমাকে করতে হবে।”
মেয়ে জিজ্ঞাসা করলো- “কি কাজ মা..?? আমি তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে কোনো কাজ করতে প্রস্তুত আছি।”
মা বললেন- “ঠিক আছে, তাহলে শোনো:-
১.তোমাকে প্রথমেই তার সাথে খুব ভালোভাবে শান্তিতে কিছুদিন থাকতে হবে,যাতে সে মারা যাওয়ার পর কেউ তোমাকে সন্দেহ করতে না পারে।
২. তার কাছে সুন্দরী এবং আকর্ষণীয়া দেখাবার জন্য তোমাকে সুন্দর করে সেজে থাকতে হবে।
৩. স্বামীকে ভালো করে যত্ন করতে হবে এবং তার প্রতি সদয় ও কৃতজ্ঞ হতে হবে।
৪. তোমাকে হিংসা কমিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে,বেশি মনোযোগী হতে হবে, আরও শ্রদ্ধাশীল এবং বাধ্য হতে হবে।
৫. প্রয়োজনে নিজের টাকা তার জন্য ব্যয় করবে এবং রাগ করা যাবে না, এমনকি সে যদি তোমাকে কিছু দিতে অস্বীকৃতি জানায় তবুও।
৬. তার সাথে উচ্চস্বরে কথা বলা যাবে না, সবসময় শান্তি এবং ভালবাসা বজায় রাখতে হবে। যাতে সে মারা গেলেও তোমাকে কেউ সন্দেহ করতে না পারে।
৭. তার কোন চাওয়া পাওয়া অপূর্ণ রাখবে না। সে যেভাবে পছন্দ করে সেভাবে চলবে এবং তার পছন্দের খাবার বানিয়ে দিবে।
এরপর মা জিজ্ঞাসা করলেন- “তুমি কি কিছুদিন এগুলো সব করতে পারবে..??”
মেয়ে জবাব দিল, “হ্যা, আমি পারবো।”
মা বললেন- “ঠিক আছে, তাহলে এই পাউডারটা নিয়ে যাও এবং প্রতিদিন তার খাবারের সাথে খানিকটা করে মিশিয়ে দাও,এটাই ধীরে ধীরে তোমার স্বামীকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে।”
৩০ দিন পর............
মেয়েটি তার মায়ের কাছে ফিরে এসে অত্যন্ত দুঃখের সাথে মিনতি করে বললো “মা, এখন আর স্বামীকে হত্যার কোনও ইচ্ছা আমার নেই। আমি এখন তাকে ভালোবাসতে পেরেছি কারন সে পুরোপুরি বদলে গেছে। সে এখন আমার কল্পনার চেয়েও খুব ভালো স্বামী। এখন তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে আমি কী করতে পারি..?? আমাকে সাহায্য কর!”
মা উত্তরে বললেন- “ভয়ের কিছু নেই, তুমি চিন্তা করো না। আমি যে পাউডার তোমাকে দিয়েছিলাম তা ছিল হলুদের গুঁড়ো। যা কখনই তার মৃত্যুর কারণ হবে না। সত্যি কথা বলতে কি তুমি নিজেই ছিলে এমন একটি বিষ যা ধীরে ধীরে তোমার স্বামীকে উত্তেজিত এবং হতাশাগ্রস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছিল।”
শিক্ষা:- "সর্বপ্রথম নিজের ভুল বা দোষগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করলে,জীবন অনেক সুখের হয়
এই পোস্ট টি কপি করা হয়েছে আল্লাহর রহমতে, আমি জানিনা এই ঘটনা কতটুকু সত্যি কিন্তু সুন্দর ঘটনা তাই পোস্ট করলাম আল্লাহর রহমতে
অনেক কিছু শিক্ষোনিয়ো আছে, যদি আমরা সকলেই শিক্ষা করতে চেষ্টা করি বুঝতে পারবো ইন শা আল্লাহ
আয় আল্লাহ আমাদের দুনিয়ায় সকল মুসলমানদের হেদায়েত ও হেফাজত করুন আমিন ইয়া রব্বাল আলামীন
0 Comments