▌যাদের গীবত করা ওয়াজিব"
.
.
গিবত করা বা পরনিন্দা করা হারাম। এই কথাটা একজন সাধারন মুসলমানও জানে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের বা দলের গিবত বলা যায়েজ, এই কথাটা অনেকেই জানে না। যার কারনে গিবতকারী গিবতকারী বলে চিল্লা চিল্লি করে।
.
কিছু মানুষ এমন আছে যে, সে নিজে খারাপ, কিন্তু তার কারনে অন্যলোক ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। এমন লোকের অনুপস্থিতিতে তার নিন্দা করা যাবে না।করলে গিবত হবে।
.
কিছু লোকের চরিত্র এমন যে, সে নিজেও ধ্বংশ হয়েছে এবং অন্যকেও ধ্বংশ করতেছে। এমন লোকের ধ্বংশাত্বক ছোবল থেকে অন্যকে বাচানোর উদ্দ্যেশে তার খারাপ চরিত্রের কথা মানুষকে জানিয়ে দেওয়া গিবতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
.
যেমন আপনার এলাকাতে একজন প্রশিদ্ধ ডাকাত আছে, তাহার ভাষা খুবই মিষ্টি। সে মিষ্টি কথার দ্বারা মানষকে বশিভুত করে ফেলে এবং সুযোগমত কৌশলে মানুষের অনিষ্ট করে। এমতাবস্তায় আপনি দেখলেন যে, আপনার ঘনিষ্ট একজন আত্নীয় তার খপ্পরে পড়ে যাবার উপক্রম। এখন আপনি কি করবেন ?
.
এখন আপনার একান্ত কর্তব্য হল, ডাকাতের চরিত্রকে প্রকাশ করা। যদি না করেন তাহলে আপনার আত্নীয়ের সবকিছু ধ্বংশ করে দিবে।এই হল সাধারন ব্যাপার। আর যে দল বা গুষ্টি প্রতারনার ফাদ পেতে লক্ষ লক্ষ লোকের ইমান আমল নষ্ট করতেছে তাদের মন্দ দিকগুলি সাধারন জনগনের নিকট প্রকাশ করা ফরজ।
.
কোন কোন ক্ষেত্রে গীবত করা ওয়াজিব?!
.
গিবতের ক্ষতিকর প্রভাবে ব্যক্তি থেকে সমাজের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে স্রেফ ইছলাহের উদ্দেশ্যে ও নেকীর আশায় জনকল্যাণার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমালোচনা করা যায়। যেটা আসলে গীবত নয়। বরং সত্য তুলে ধরা।
.
যেমন,
(১) অত্যাচারীর অত্যাচার প্রকাশ করার জন্য।
(২) সমাজ থেকে অন্যায় দূর করা এবং পাপীকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য।
(৩) হাদীছের সনদ যাচাইয়ের জন্য।
(৪) মুসলিমদেরকে মন্দ থেকে সতর্ক করার জন্য।
(৫) পাপাচার ও বিদ‘আত থেকে সাবধান করার জন্য।
(৬) প্রসিদ্ধ নাম বলে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য! যাতে করে লোকেরা এদের চিনতে পারে।
.
[নববী, রিয়াযুছ ছালেহীন, ২৫৬ অনুচ্ছেদ, পৃঃ ৫৭৫; মুসলিম হা/২৫৮৯ ‘গীবত হারাম হওয়া’ অনুচ্ছেদ, নববীর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য]
___________
.
উত্তরেঃ শাইখ মতিউর রহমান মাদানি হাফিয্বাহুল্লাহ।
0 Comments